নিজস্ব প্রতিবেক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ পুরো উত্তরাঞ্চলে শীত আসতে শুরু করেছে। দিনের চেয়ে বিকেল থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি। অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তরাঞ্চলের শীত ও গরম বেশি অনুভূত হয়। এখন শীত মোকাবেলায় গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে পৌর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন ফুটপাত ও দোকানগুলোতে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মার্কেটেও তাল মিলিয়ে গরম কাপড় বিক্রিতে তোড়জোড় চলছে। ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানে ছেয়ে গেছে সারা শহর। শীতের শুরু থেকেই নগরীর বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভ্যানে কিংবা ভ্রাম্যমাণ দোকানঘর গড়ে উঠেছে। ফলে শীতে গরম কাপড় ও জুতার ব্যবসা জমে ওঠেছে। ফুটপাতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতের গড়ে ওঠা কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। শীত নিবারণে সাধ্যমত কম মূল্যে শীতবস্ত্র কিনতে যাচ্ছেন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এবারের শীতকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঢাকা বাস স্ট্যান্ড, কোর্ট এলাকা, স্টেশন পট্টি, হুজরাপুর, নিউমার্কেট এলাকা, ফুড অফিস মোড়, বারঘরিয়া দৃষ্টি নন্দন পার্ক, নিমতলা, বাতেন খাঁর মোড়, শান্তি মোড়সহ স্থায়ীসহ ভ্রাম্যমাণ দোকানে ও ভ্যানে করে লোকসমগম এলাকায় শীতের গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। ৭ ডিসেম্বর এলাকার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, শিশুসহ নানা বয়সের শীতের বিভিন্ন রকম পোশাক রয়েছে। এর মধ্যে গেঞ্জি, উলের পোশাক, কোর্ট ও জ্যাকেট বেশি বিক্রি হয়। এ ছাড়া নারীদের জন্য নানা রকম পোশাক রয়েছে। শোয়েটার কিংবা জ্যাকেট সর্বনিম্ন ৬০ থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় বিকেল বেলা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত ভিড় দেখা যাচ্ছে ফুটপাতে। স্টেশন এলাকায় গরম কাপড় কিনতে আসা ক্রেতা সাদেকুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর এখানে ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকান বসে। তবে এবার দোকান ও ভ্যান ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা যায়। উসকাটি পাড়ার গরম কাপড় বিক্রেতা সালামত বলেন, শীতে গরম কাপড়ের ব্যবসা করছি। বরাবরই এসব মালের চাহিদা ভালো থাকে। ঠান্ডা বাড়লে ক্রেতার সংখ্যা বেশি হয়। তিনি আরো জানান, ক্রেতা আসছে অনেক কিন্তু বেচাবিক্রি তেমনটা এখনও জমে উঠেনি। ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রেতা দিলিপ, আজমত, সাইফুল জানান, জ্যাকেট, কোর্ট, গেঞ্জি, সব ভ্যারাইটির কাপড় বিক্রি করা হয়। তবে শোয়েটার ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া জ্যাকেট ২০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে ও টি শার্ট ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়। কাপড়ের কোয়ালিটি অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। বারঘরিয়ায় কাপড় বিক্রেতা মইদুল জানান, সন্ধ্যার পর বেচাবিক্রি বাড়ছে। বিভিন্ন বয়সী মানুষ আসছে গরম কাপড় কিনতে। তবে এখনও তেমন বেচাবিক্রি বাড়েনি। শীত বেশি পড়লে তখন বাড়বে বিক্রি। এদিকে চলতি ডিসেম্বর মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তখন বাড়বে শীত, বাড়বে গরম কাপড় বেচাবিক্রি। -ডি এম কপোত নবী
Leave a Reply